Shopping cart

Welcome to Explore Bangla! We are a dedicated platform committed to bringing you the latest insights and updates on everything that matters in Bangladesh. From trending news, technology, and lifestyle to fashion, education, and travel, we cover it all in one place. Our mission is to connect our readers with diverse, valuable content that keeps them informed and inspired about what’s happening locally and globally.

  • Home
  • Social Issue
  • শিশু শ্রম: শিশু শ্রমের ক্ষতিকর দিক ও তার প্রতিকার
Social Issue

শিশু শ্রম: শিশু শ্রমের ক্ষতিকর দিক ও তার প্রতিকার

শিশু শ্রম
Email :105

Table of Contents

শিশু শ্রম কি?

শিশু শ্রম হলো এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে শিশুদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পরিবর্তে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। এটি একটি সামাজিক সমস্যা, যা শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক উন্নয়নকে ব্যাহত করে এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিশুরা সাধারণত তাদের পরিবারের আর্থিক দুশ্চিন্তা বা অসহায়ত্বের কারণে বা অপার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে শিশু শ্রমের শিকার হয়।

শিশুশ্রমের ধরন

  1. শিল্পকারখানায় শিশুশ্রম:
    • শিশুরা ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট, গার্মেন্টস বা খনির মতো শিল্পে কাজ করে।
  2. বাড়ির কাজে শিশুশ্রম:
    • কিছু পরিবারে শিশুরা গৃহস্থালির কাজ করে, যেমন সাফাই, রান্না, বা ছোটখাটো ব্যবসা পরিচালনা।
  3. কৃষিক্ষেত্রে শিশুশ্রম:
    • খামার বা কৃষিক্ষেত্রে কাজ করা, যেমন ফসল তোলা বা পশুপালন।
  4. অন্যান্য ক্ষেত্র:
    • রাস্তার পাশে ছোট ব্যবসা বা শ্রমের প্রকারে শিশুরা যুক্ত হয়, যেমন বিক্রি করা, ক্যারেট টানা, বা অন্যান্য শ্রমসাধ্য কাজ।

শিশু শ্রম এর কারণ

শিশুশ্রমের কারণ বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত হতে পারে। নিচে Child Labour কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:

শিশু শ্রম
সন্তানদের কাজের জন্য পাঠানোর বিষয়ে পিতামাতার মতামত

১. দারিদ্র্য

দারিদ্র্য শিশুদের জীবনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখা যায়। অনেক পরিবার তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়, ফলে তারা তাদের সন্তানদের কাজে পাঠাতে বাধ্য হয় যাতে পরিবারে অর্থ আনা যায়। শিশুদের শ্রমে তাদের আয় বৃদ্ধি পাওয়া সহজ হয়, যা পরিবারের খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে সহায়ক হয়।

২. শিক্ষার অভাব

অনেক দেশে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে, বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ কম বা অসুবিধাজনক। শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার অভাব তাদের কাজের দিকে ঠেলে দেয়, বিশেষ করে যখন তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকে।

৩. পারিবারিক অনিশ্চয়তা

পারিবারিক সমস্যা, যেমন বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, অপর্যাপ্ত আয় বা অসুস্থতা, শিশুকে ঘরোয়া বা বাহ্যিক কাজে নিয়োজিত করার কারণ হতে পারে। Child Labour কখনও কখনও পারিবারিক চাপের ফলস্বরূপ ঘটে, যেখানে পরিবারের সদস্যরা অর্থ উপার্জন করতে সন্তানদের কাজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

৪. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সংস্কৃতি

কিছু সমাজে শিশুদের কাজে নিয়োজিত করার প্রথা চলে আসছে। বিশেষ করে, কৃষি বা গৃহস্থালি কাজে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, কিছু অঞ্চলে Child Labour সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, যেখানে এটি একটি ঐতিহ্য হিসেবে রয়ে যায়।

৫. অবৈধ বা অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রম বাজার

অনেক ক্ষেত্রে Child Labour অবৈধ শ্রম বাজারে কাজে লাগানো হয়, যেখানে শিশুদের কম বেতনে কাজ করানো হয়। এর মধ্যে খুচরা দোকানে কাজ, ছোটখাটো ব্যবসায় শ্রমদান, বা অন্য ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

৬. আইন ও সরকারের দুর্বল বাস্তবায়ন

যেসব দেশে Child Labour বিরুদ্ধে কঠোর আইন না থাকে বা যেখানে আইন বাস্তবায়ন দুর্বল, সেখানে শিশুশ্রমের ঘটনা বেশি দেখা যায়। প্রশাসনিক নজরদারি ও আইনগত ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত থাকলে Child Labour বৃদ্ধি পায়।

শিশু শ্রমের ক্ষতিকর দিক

শিশুশ্রমের ক্ষতিকর দিক বিভিন্ন দিক থেকে শিশুদের জন্য মারাত্মক এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। এটি শিশুদের শারীরিক, মানসিক, এবং সামাজিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। নিচে এর কিছু প্রধান ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ করা হলো:

১. শারীরিক ক্ষতি

  • স্বাস্থ্য সমস্যা: শিশুদের শরীর এখনও পূর্ণবয়স্ক নয়, তাই দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর কাজ করার ফলে তাদের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে তাদের হাড়, পেশী, এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে, যা ভবিষ্যতে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে।
  • আঘাতের ঝুঁকি: অনেক ক্ষেত্রেই শিশুরা বিপজ্জনক কাজের মধ্যে অংশগ্রহণ করে, যেমন যন্ত্রপাতি বা তীব্র তাপমাত্রার কাজ, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।

২. মানসিক ও মানসিক চাপ

  • আত্মবিশ্বাসের অভাব: Child Labour কারণে শিশুদের আত্মবিশ্বাস ও মনোবল কমে যায়। তারা একদিকে যেমন কাজের চাপের মধ্যে থাকে, তেমনি অন্যদিকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, যা তাদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
  • মানসিক চাপ: দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রমের ফলে শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা, এবং হতাশাগ্রস্ততার সৃষ্টি হতে পারে। এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

৩. শিক্ষা থেকে বঞ্চনা

  • শিক্ষার অভাব: শিশুরা যখন শ্রমের সাথে যুক্ত থাকে, তারা স্কুলে যেতে পারে না এবং শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এই কারণে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান এবং সামাজিক অবস্থান হুমকির মুখে পড়ে।
  • অভ্যন্তরীণ বিকাশের অভাব: শিক্ষা না পাওয়ার কারণে শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ থমকে যায়, এবং তারা কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে পারে না, যা তাদের সার্বিক জীবনের সুযোগ সীমিত করে।

৪. সামাজিক প্রভাব

  • গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের অভাব: শিক্ষার অভাবে শিশুদের সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ কমে যায়। তারা ভবিষ্যতে নাগরিক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না।
  • বৈষম্য বৃদ্ধি: Child Labour ফলে দরিদ্রতা এবং সামাজিক বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পায়, কারণ শিশুদেরকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয় এবং তারা সমাজে এক ধরনের অবহেলা বা অধিকারহীনতার শিকার হয়।

৫. অর্থনৈতিক ক্ষতি

  • দক্ষ মানবসম্পদের অভাব: Child Labour কারণে একটি দেশের কর্মক্ষম মানবসম্পদ কমে যায়। শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী উৎপাদনের সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।
  • ভবিষ্যতে উন্নতির অভাব: Child Labour শিকার শিশুদের যখন বড় হয়, তাদের জীবনে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে পড়ে, যা দেশব্যাপী দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তা বাড়ায়।

শিশু শ্রম ও তার প্রতিকার

শিশুশ্রম একটি গুরতর সামাজিক সমস্যা যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ শিশুদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। শিশুশ্রমের মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য, শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চনা, এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা। শিশুদের শ্রমের মধ্যে রয়েছে কৃষি, শিল্প, গৃহস্থালির কাজ, রাস্তার ব্যবসা, এবং অনেক ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক কাজ। শিশুশ্রমের কারণে তাদের শারীরিক, মানসিক, এবং সামাজিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ভবিষ্যতে তাদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে।

শিশুশ্রম কি
5-7 বছর বয়সী কর্মরত শিশু জরিপ

শিশুশ্রমের প্রতিকার:

  1. শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি:
    • শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বাধ্যতামূলক আইন ও সুবিধা প্রদান করা। স্কুলে ভর্তি, বিনামূল্যে পাঠ্যবই, এবং শিশুদের জন্য বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্র গঠন করা। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (UNESCO) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি এবং শিশুশ্রম প্রতিরোধে কাজ করছে। (Source: UNESCO)
  2. দারিদ্র্য নিরসন:
    • পরিবারের আর্থিক সহায়তা প্রদান, যেমন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, খাদ্য সহায়তা, এবং দরিদ্র পরিবারের জন্য আয়-উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করা, যাতে পরিবার শিশুকে কাজে পাঠাতে বাধ্য না হয়। (Source: World Bank)
  3. আইনি ব্যবস্থা ও সরকারি পদক্ষেপ:
    • শিশুদের কাজে নিয়োজিত করার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। শিশু শ্রম আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং দণ্ডবিধি শক্তিশালী করা। (Source: ILO)
  4. জেন্ডার সমতা:
    • নারীদের এবং শিশুদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ও শিক্ষা সুবিধার উন্নতি করা। বিশেষভাবে, মেয়েদের জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান করা যাতে তারা শিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। (Source: UNICEF)
  5. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি:
    • শিশু শ্রমের কুফল সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো। জনসাধারণ এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা। (Source: International Labour Organization)

বাংলাদেশে শিশু শ্রম প্রতিরোধের উপায়

বাংলাদেশে শিশুশ্রম প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবে এটি একটি জটিল সমস্যা এবং এর জন্য ব্যাপক সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং আইনি পরিবর্তন প্রয়োজন। নিম্নলিখিত উপায়গুলো শিশু শ্রম কমাতে সাহায্য করতে পারে:

১. শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি:

  • বাধ্যতামূলক শিক্ষা: বাংলাদেশের সরকার প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে, কিন্তু অনেক শিশুই স্কুলে যেতে পারে না। ইউনিসেফ এবং আইএলও (ILO) এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শিক্ষার প্রবাহ বাড়ানোর জন্য কাজ করছে, যাতে শিশুরা শ্রমের মধ্যে না চলে যায়। স্কুলে বিনামূল্যে বই এবং বাসস্থান সুবিধা প্রদান এবং স্কুল ছুটির হার কমানোর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হচ্ছে।
  • শিক্ষার প্রতি সামাজিক সচেতনতা: পরিবারের মধ্যে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে, যাতে শিশুরা বাধ্যতামূলক শিক্ষায় যোগদান করতে পারে।

২. দারিদ্র্য বিমোচন:

  • সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা: দরিদ্র পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, যেমন: দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী, খাদ্য সহায়তা, এবং রেশন ব্যবস্থা উন্নত করা।
  • আইন ও নীতি: সরকার দরিদ্র পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে শিশুশ্রম কমানোর জন্য বিভিন্ন নীতি তৈরি করছে, যাতে শিশুরা কর্মজীবনে না এসে শিক্ষা অর্জনে মনোনিবেশ করতে পারে।

৩. আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন:

  • শিশুশ্রম প্রতিরোধ আইন: ২০০০ সালে বাংলাদেশে শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী আইন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। আইনটির কার্যকর বাস্তবায়ন এবং দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা জরুরি।
  • কর্মক্ষেত্রে শিশুশ্রমের ওপর নজরদারি: আইনি কার্যক্রম এবং শ্রম বাজারে শিশুদের অবৈধ কাজে নিয়োগের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি করা।

৪. সামাজিক সচেতনতা এবং প্রচারণা:

  • জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি: শিশু শ্রমের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে গণমাধ্যম এবং এনজিওগুলোর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো।
  • প্রতিবাদী উদ্যোগ: স্কুলের শিক্ষক, সমাজকর্মী, এবং শিশু অধিকার সংস্থাগুলির মাধ্যমে শিশু শ্রম বন্ধে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা গড়ে তোলা।

৫. দুর্বল কার্যকারিতা মোকাবেলা:

  • দূরদর্শী সামাজিক উদ্যোগ: এমন উদ্যোগ নেওয়া, যার মাধ্যমে শিশুদের পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে, ফলে তারা আর শিশুদের কাজে পাঠাতে বাধ্য হবে না।

৬. বিশ্বব্যাপী সমন্বিত পদক্ষেপ:

  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: শিশুশ্রম প্রতিরোধে জাতিসংঘ, আইএলও, এবং ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাহায্য এবং প্রভাবশালী পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে।

উপসংহার:

বাংলাদেশে শিশুশ্রম একটি বড় সমস্যা, তবে এটি সমাধানের জন্য বিভিন্ন স্তরে কাজ চলছে। কার্যকর আইনি ব্যবস্থা, শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশুদের শ্রমের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। সরকারের পাশাপাশি, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা শিশুশ্রম কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

FAQs

বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস (World Day Against Child Labour) প্রতি বছর ১২ জুন তারিখে পালিত হয়। এই দিনটি শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিশুদের প্রতি সমস্ত ধরনের শ্রমের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালন করা হয়।

শিশুশ্রম আইন, ২০১৮ (The Child Labour (Prohibition and Regulation) Act, 2018) বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন, যা শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তৈরি হয়েছে। এই আইনটির উদ্দেশ্য হলো শিশুদের শোষণ এবং বিপজ্জনক কাজে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধ করা, এবং তাদের শিক্ষা ও বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা।

Read Related Articles

দুর্নীতি কি?

Related Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts