আয়কর রিটার্ন কি?
আয়কর রিটার্ন হল একটি আর্থিক নথি যেখানে একজন করদাতা তার বার্ষিক আয়ের বিবরণ, ব্যয়, করযোগ্য আয় এবং প্রদেয় করের তথ্য প্রদান করে। এটি আয়কর কর্তৃপক্ষকে কর নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। বাংলাদেশে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার নিয়মাবলী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
কাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে?
নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক:
- বেতনভুক্ত চাকরিজীবী (যাদের বার্ষিক আয় করমুক্ত সীমার বেশি)।
- ব্যবসায়ী এবং পেশাজীবী (যেমন, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী)।
- স্বতন্ত্র পেশাজীবী (ডিজিটাল মার্কেটার, ইউটিউবার, ব্লগার, ই-কমার্স ব্যবসায়ী)।
- যে কেউ, যার বার্ষিক আয় করমুক্ত সীমার বেশি (পুরুষ: ৩,০০,০০০ টাকা, মহিলা ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী: ৩,৫০,০০০ টাকা, প্রতিবন্ধী: ৪,৫০,০০০ টাকা)।
- TIN (Taxpayer Identification Number) ধারী ব্যক্তিদের।
- যাদের বিদেশে আয় বা সম্পদ রয়েছে।
- যারা রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা গুনতে হবে এমন পরিস্থিতিতে রয়েছেন।
আয়কর রিটার্ন কত টাকা (২০২৩-২০২৪ অর্থবছর)
শ্রেণি | করমুক্ত আয়সীমা (টাকা) |
---|
পুরুষ (সাধারণ) | ৩,০০,০০০ টাকা |
নারী ও প্রবীণ (৬৫+) | ৩,৫০,০০০ টাকা |
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা | ৪,৫০,০০০ টাকা |
মুক্তিযোদ্ধারা | ৪,৭৫,০০০ টাকা |
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা
প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর হলো আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। প্রয়োজনে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারবেন (সাধারণত এক মাস পর্যন্ত)।
আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজনীয় নথি
- TIN সার্টিফিকেট (Taxpayer Identification Number)।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কপি।
- বিনিয়োগের তথ্য (শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, বন্ড ইত্যাদি)।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (পুরো বছরের) এবং বিনিয়োগের প্রমাণপত্র।
- সম্পদ ও দায়ের বিবরণ (যেমন জমি, বাড়ি, গাড়ি, ইত্যাদি)।
- বেতন স্লিপ (যদি চাকরিজীবী হন)।
- চ্যারিটেবল অনুদানের প্রমাণপত্র (যদি দান করে থাকেন)।
- বাণিজ্যিক লাইসেন্স (যদি ব্যবসা করেন)।
আয়কর রিটার্ন দাখিলের ধাপসমূহ
- TIN নিবন্ধন: প্রথমবারের জন্য TIN নিবন্ধন করতে হবে (অনলাইনে NBR ওয়েবসাইটে)।
- প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করুন: আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সম্পদ বিবরণী এবং বেতন স্লিপ প্রস্তুত করুন
- রিটার্ন ফর্ম পূরণ করুন: অনলাইনে বা কাগজে NBR-এর নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করুন।
- রিটার্ন দাখিল: NBR-এর অনলাইন পোর্টাল বা নিজ জেলার কর অফিসে জমা দিন।
- জমার রশিদ সংগ্রহ করুন: রিটার্ন জমা দেওয়ার পরে রশিদ সংরক্ষণ করুন, যা ভবিষ্যতে প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।
আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম
- ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: www.etaxnbr.gov.bd
- TIN একাউন্টে লগ ইন করুন।
- রিটার্ন ফর্ম পূরণ করুন: আয়, ব্যয় এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য যুক্ত করুন।
- দাখিল করুন: ফর্ম জমা দিয়ে জমার রসিদ (Acknowledgement Slip) ডাউনলোড করুন।
আয়কর রিটার্ন না দিলে কী হবে?
- জরিমানা: ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
- বাধা সৃষ্টি: ব্যাংক ঋণ, লাইসেন্স নবায়ন, ভিসার জন্য কর ফাইল প্রয়োজন।
- অতিরিক্ত কর: সময়মতো কর না দিলে অতিরিক্ত কর দিতে হতে পারে।
আয়কর রিটার্নে কী করছাড় পাওয়া যায়?
- সঞ্চয়পত্র এবং জীবন বীমা: সঞ্চয়পত্র, জীবন বীমা, পেনশন স্কিম ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করলে করছাড় পাওয়া যায়।
- শিক্ষা ও স্বাস্থ্য: চিকিৎসা ব্যয় এবং সন্তানের শিক্ষার ব্যয়েও করছাড় পাওয়া যায়।
- অনুদান ও দান: নির্দিষ্ট স্বীকৃত দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করলে করছাড় পাওয়া যায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- রিটার্ন দাখিলের সময় ভুল তথ্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকুন।
- আপনার আয়, সম্পদ ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত নথি সবসময় হালনাগাদ রাখুন।
- NBR ওয়েবসাইটে টিউটোরিয়াল ও নির্দেশিকা পাওয়া যায়।
- প্রয়োজনে পেশাদার ট্যাক্স কনসালট্যান্টের সহায়তা নিন।
আয়কর রিটার্ন ফরম
আয়কর রিটার্ন ফরম (Income Tax Return Form) হলো সেই নথি যেখানে আপনি আপনার বার্ষিক আয়, ব্যয়, বিনিয়োগ এবং করের বিবরণ জমা দেন। বাংলাদেশে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) বিভিন্ন ধরণের আয়কর রিটার্ন ফরম নির্ধারণ করেছে।
আয়কর রিটার্ন ফরমের ধরন
NBR-এর নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন আয়কারী গোষ্ঠীর জন্য আলাদা ধরনের ফরম রয়েছে।
ফরম নম্বর | কার জন্য প্রযোজ্য |
---|---|
ফরম-১১৭এ | চাকরিজীবী, ফ্রিল্যান্সার, ছোট ব্যবসায়ী (ব্যক্তি) |
ফরম-১১৭ই | ব্যবসায়ী/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (কোম্পানি) |
ফরম-১১৭এএ | কৃষিজমি, সম্পদ বা ভাড়ার আয়ের জন্য (ব্যক্তি) |
ফরম-১১৭বি | অংশীদারিত্ব ব্যবসা বা অংশীদারদের জন্য |
অনলাইন ফরম | NBR অনলাইন পোর্টাল থেকে পূরণযোগ্য ফরম |
কোথায় পাওয়া যাবে আয়কর রিটার্ন ফরম?
- অনলাইন ডাউনলোড:
- NBR-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: www.nbr.gov.bd
- কর অফিস থেকে:
- আপনার নিকটবর্তী কর অফিসে গিয়ে কাগজের ফরম সংগ্রহ করা যায়।
আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণের নিয়ম
- ব্যক্তিগত তথ্য:
- নাম, পিতার নাম, মায়ের নাম, ঠিকানা, NID নম্বর, TIN নম্বর, ফোন নম্বর, ইমেইল ইত্যাদি।
- আয়ের বিবরণ:
- চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে: বার্ষিক বেতন, বোনাস, ভাতা ইত্যাদি উল্লেখ করুন।
- ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে: ব্যবসার আয়, পণ্য বিক্রির বিবরণ, গ্রস প্রফিট ইত্যাদি উল্লেখ করুন।
- ভাড়া বা সম্পদ আয়ের ক্ষেত্রে: বাড়ি/ফ্ল্যাট ভাড়া থেকে আয়ের বিবরণ প্রদান করুন।
- ব্যয়ের বিবরণ:
- পরিবারের খরচ, শিক্ষা খরচ, চিকিৎসা খরচ এবং যেকোনো বড় খরচ উল্লেখ করুন।
- বিনিয়োগের বিবরণ:
- সঞ্চয়পত্র, জীবন বীমা, পেনশন স্কিম, শেয়ার বিনিয়োগের বিবরণ দিন।
- সম্পদ ও দায়ের বিবরণ:
- আপনার জমি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, ব্যাংক ডিপোজিট, গহনা ইত্যাদি উল্লেখ করুন।
- ট্যাক্স ক্যালকুলেশন:
- ক্যালকুলেশন করুন এবং দেখুন করযোগ্য আয় থেকে করছাড়ের সুবিধাগুলি কীভাবে প্রয়োগ হবে।
- স্বাক্ষর এবং দাখিল:
- ফরম পূরণের পর নিজে বা পেশাদার কর পরামর্শকের (Tax Consultant) সাহায্যে জমা দিন।
সরকারি চাকরিজীবীদের আয়কর রিটার্ন ফরম
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যবাধকতা। সরকারি চাকরিজীবীদের আয়ের উৎস প্রধানত বেতন, ভাতা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সুবিধা। আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) নির্দিষ্ট ফরম নির্ধারণ করেছে, যা সহজেই পূরণ করা যায়।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রযোজ্য রিটার্ন ফরম
- ফরম-১১৭এ (ITA-117A):
সরকারি চাকরিজীবী, বেসরকারি চাকরিজীবী এবং স্বতন্ত্র পেশাজীবীদের জন্য নির্ধারিত ফরম।- এটি NBR ওয়েবসাইট বা কর অফিস থেকে ডাউনলোড করা যায়।
- ফরমটি অনলাইনেও পূরণ এবং জমা দেওয়া যায়।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য করযোগ্য আয়ের উৎস
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সাধারণত নিম্নোক্ত আয়গুলিকে করযোগ্য ধরা হয়:
- বেতন (মূল বেতন, বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পরিবহন ভাতা ইত্যাদি)।
- বোনাস (ঈদ বোনাস, পূজো বোনাস, উৎসব ভাতা ইত্যাদি)।
- আর্থিক সুবিধা (যদি বাড়ি, গাড়ি বা অন্য কোনো সুবিধা পেয়ে থাকেন)।
- ভাড়া আয় (যদি নিজ নামে ভাড়া পাওয়া সম্পত্তি থাকে)।
- বিনিয়োগ থেকে আয় (যদি সঞ্চয়পত্র, শেয়ার বা ব্যাংক সুদ থেকে আয় থাকে)।
সরকারি চাকরিজীবীদের আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণের ধাপ
ধাপ ১: ব্যক্তিগত তথ্য দিন
- নাম, পিতা/মাতার নাম, TIN নম্বর, পেশা (সরকারি চাকরিজীবী), ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা লিখুন।
ধাপ ২: আয়ের বিবরণ পূরণ করুন
- বেতন: মাসিক বেতনের মোট পরিমাণ লিখুন।
- ভাতা ও বোনাস: বাড়িভাড়া ভাতা, পরিবহন ভাতা, চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব বোনাস লিখুন।
- অন্য উৎস: যদি ভাড়া বা অন্যান্য উৎস থেকে আয় থাকে, তবে তা উল্লেখ করুন।
ধাপ ৩: বিনিয়োগের তথ্য দিন
- সঞ্চয়পত্র, জীবন বীমা, পেনশন স্কিম বা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ থাকলে তার বিবরণ লিখুন।
ধাপ ৪: সম্পদ ও দায়ের বিবরণ দিন
- জমি, গাড়ি, বাড়ি, সোনাদানা বা অন্য সম্পত্তির তথ্য লিখুন।
- ব্যাংক ঋণ বা ব্যক্তিগত দায় থাকলে সেটিও উল্লেখ করুন।
ধাপ ৫: কর ছাড়ের বিবরণ দিন
- শিক্ষার খরচ, চিকিৎসা খরচ, অনুদান ইত্যাদি সম্পর্কিত কর ছাড়ের বিবরণ উল্লেখ করুন।
ধাপ ৬: কর ক্যালকুলেশন করুন
- নিজেই অনলাইনে বা NBR-এর কর ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে কর নির্ধারণ করুন।
ধাপ ৭: জমা দিন
- অনলাইনে বা নিজ জেলা কর অফিসে রিটার্ন ফরম জমা দিন।
- রিটার্ন জমা দেওয়ার পরে Acknowledgment Slip সংগ্রহ করুন।
FAQs
কত টাকা থাকলে আয়কর দিতে হয়?
করমুক্ত আয়ের সীমা (২০২৩-২৪ অর্থবছর)
ব্যক্তির ধরন | করমুক্ত আয়সীমা (টাকা/বছর) |
---|---|
পুরুষ (সাধারণ ব্যক্তি) | ৩,০০,০০০ টাকা |
নারী ও প্রবীণ (৬৫ বছরের বেশি) | ৩,৫০,০০০ টাকা |
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি | ৪,৫০,০০০ টাকা |
মুক্তিযোদ্ধা | ৪,৭৫,০০০ টাকা |
অনলাইনে কিভাবে আয়কর দেওয়া যায়?
অনলাইনে আয়কর দেওয়ার ধাপ
অনলাইনে আয়কর দেওয়ার জন্য ৭টি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
১. TIN (Taxpayer Identification Number) নিবন্ধন করুন
যদি আপনার আগে থেকেই TIN (ট্যাক্স আইডি) না থাকে, তবে প্রথমে TIN রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
কীভাবে TIN নিবন্ধন করবেন?
- ভিজিট করুন: NBR e-Registration পোর্টাল।
- Register বা নিবন্ধন ক্লিক করুন।
- আপনার NID, পেশা, ঠিকানা এবং যোগাযোগের তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করুন।
- সফলভাবে নিবন্ধনের পরে, আপনার একটি TIN নম্বর ইস্যু হবে।
আয়কর না দিলে কি হয়?
বাংলাদেশে আয়কর প্রদান করা একটি আইনগত বাধ্যবাধকতা। করযোগ্য আয় থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ আয়কর না দেন বা আয়কর রিটার্ন দাখিল না করেন, তবে তার বিরুদ্ধে জরিমানা, সুদ, আইনি ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) আয়কর না দিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
বিনিয়োগ আয়কর হিসাব?
বাংলাদেশের আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অনুযায়ী, বিভিন্ন বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত আয় করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য হয়। তবে কিছু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে করছাড় (Tax Rebate/Tax Credit) পাওয়া যায়, যা আপনার মোট কর কমিয়ে দেয়। বিনিয়োগকৃত অর্থের উপর করছাড় পাওয়া সম্ভব, কিন্তু সব বিনিয়োগ করযোগ্য নয়।
আয়কর রিটার্নের পাসওয়ার্ড কি?
আয়কর রিটার্নের পাসওয়ার্ড হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) এর e-Filing পোর্টালে লগইন করার জন্য ব্যবহৃত গোপন কোড। এটি আপনার TIN (Taxpayer Identification Number) এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করা হয়।
রিটার্ন ফাইলের স্ট্যাটাস চেক?
আপনি NBR e-Filing পোর্টাল ব্যবহার করে আপনার আয়কর রিটার্ন ফাইলের অবস্থা বা স্ট্যাটাস সহজেই চেক করতে পারেন। এটি আপনাকে জানাবে যে আপনার রিটার্ন গ্রহণ হয়েছে কি না, কোনো ত্রুটি (error) আছে কি না, এবং ফাইনাল প্রসেসিং হয়েছে কি না।
বাংলাদেশে কর কত প্রকার?
বাংলাদেশে কর বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যা মূলত দুইটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায়: আয়ের কর (Income Tax) এবং পণ্য ও সেবা কর (Indirect Taxes)। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কর নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য এবং ক্ষেত্রের জন্য নির্ধারিত।