Shopping cart

Welcome to Explore Bangla! We are a dedicated platform committed to bringing you the latest insights and updates on everything that matters in Bangladesh. From trending news, technology, and lifestyle to fashion, education, and travel, we cover it all in one place. Our mission is to connect our readers with diverse, valuable content that keeps them informed and inspired about what’s happening locally and globally.

  • Home
  • Economic
  • অর্থনৈতিক মন্দা কি? অর্থনৈতিক মন্দার কারণ, প্রভাব ও করণীয়
Economic

অর্থনৈতিক মন্দা কি? অর্থনৈতিক মন্দার কারণ, প্রভাব ও করণীয়

অর্থনৈতিক মন্দা কি?
Email :128

অর্থনৈতিক মন্দা কি?

অর্থনৈতিক মন্দা হল একটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেখানে দেশের অর্থনীতি দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমশ সংকুচিত হয় বা বৃদ্ধি হারিয়ে ফেলে। এই সময়ে উৎপাদন, বাণিজ্য, ও কর্মসংস্থানের হার হ্রাস পায়, এবং বেকারত্ব বেড়ে যায়। অর্থনৈতিক মন্দা সাধারণত মোট দেশজ উৎপাদন (GDP), বিনিয়োগ, ও আয় কমে যাওয়া দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। সাধারণত দুই বা ততোধিক ত্রৈমাসিক সময় ধরে যদি একটি দেশের GDP ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়, তবে সেটিকে অর্থনৈতিক মন্দা বলা হয়।

১৮৭৩ সালের অর্থনৈতিক মন্দা কি

১৮৭৩ সালের অর্থনৈতিক মন্দা, যা “দ্য লং ডিপ্রেশন” নামে পরিচিত, ১৯ শতকের শেষের দিকে ইউরোপ ও আমেরিকার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এটি ১৮৭৩ সালে ইউরোপের অনেক ব্যাংকের ব্যর্থতা এবং নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের ধসের মাধ্যমে শুরু হয়। এই মন্দা প্রায় দুই দশক ধরে চলেছিল, যা উৎপাদন, বাণিজ্য, এবং কর্মসংস্থানে দীর্ঘস্থায়ী সংকট তৈরি করে।

এই মন্দার মূল কারণগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ঋণ, মূলধনের সংকট, এবং ইউরোপে যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল। এছাড়াও, কৃষি ও শিল্প উৎপাদনে অতিরিক্ত সরবরাহ এবং সোনার মান নির্ধারণে সমস্যা মন্দাটিকে আরও গভীর করে তোলে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণ

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রধান কারণগুলো হলো:

  1. বিনিয়োগে সংকট: অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কমে যায়, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।
  2. ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ব্যর্থতা: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ন্ত্রিত ঋণ প্রদান এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের কারণে অনেক সময় তাদের দেউলিয়া হয়ে যেতে হয়, যা আর্থিক খাতে সংকট তৈরি করে।
  3. চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্যের অভাব: পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ ও চাহিদার হ্রাস অর্থনীতিতে মন্দার কারণ হতে পারে। চাহিদা কমে গেলে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়, যা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
  4. বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতি: মূল্যস্ফীতি এবং মুদ্রার মূল্য কমে যাওয়ার কারণে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানে প্রভাব ফেলে।
  5. রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা: যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, এবং সামাজিক সংকটগুলো অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয় এবং এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগও কমে যায়।
  6. বৈশ্বিক বাণিজ্য বাধা: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা বা ট্যারিফ আরোপের ফলে দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাধাপ্রাপ্ত হয়, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়া প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণ হতে পারে।

আমেরিকায় কত সালে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়

আমেরিকায় কয়েকটি বড় অর্থনৈতিক মন্দা হয়েছে, তবে উল্লেখযোগ্য কিছু বড় মন্দা শুরু হওয়ার তারিখগুলো হলো:

  1. গ্রেট ডিপ্রেশন (১৯২৯ – ১৯৩৯): আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দা। এটি ১৯২৯ সালের অক্টোবর মাসে শেয়ারবাজার ধসের মাধ্যমে শুরু হয় এবং প্রায় এক দশক ধরে চলে। এই মন্দার সময় বেকারত্ব ও দারিদ্র্য চরম পর্যায়ে পৌঁছায় এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
  2. মহামন্দা (The Great Recession, ২০০৭ – ২০০৯): ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃহঋণ সংকট এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেউলিয়াত্বের মাধ্যমে এই মন্দা শুরু হয়। এটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।

এছাড়াও, আমেরিকায় আরও কিছু ছোটখাটো অর্থনৈতিক মন্দা হয়েছে, তবে উপরোক্ত দুটি সময়কাল ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী।

1929 সালের অর্থনৈতিক মন্দা

1929 সালের অর্থনৈতিক মন্দার কারণ

১৯২৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দা, যা “গ্রেট ডিপ্রেশন” নামে পরিচিত, শুরু হয়েছিল কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণের সমন্বয়ে। এই মন্দার প্রধান কারণগুলো হলো:

  1. স্টক মার্কেটের ধস: ১৯২৯ সালের ২৪ অক্টোবর “ব্ল্যাক থার্সডে” নামে পরিচিত দিনে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যাপক ধস নামে। এর কয়েক দিন পর আরও বড় ধস হয়, যা “ব্ল্যাক টিউসডে” নামে পরিচিত। বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায়, এবং শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে, যা অর্থনৈতিক মন্দার প্রধান সূচনা করে।
  2. ব্যাংকিং সংকট: মন্দার শুরুর পর অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায়। মানুষ ব্যাংক থেকে তাদের আমানত তুলতে শুরু করলে ব্যাংকগুলোর উপর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং তারা সম্পূর্ণ কার্যক্ষমতা হারায়। এর ফলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
  3. ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগে হ্রাস: স্টক মার্কেটের ধস ও ব্যাংকিং সংকটের কারণে মানুষের আয় কমে যায় এবং তারা কম খরচ করতে শুরু করে। বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারায়। এর ফলে উৎপাদন কমে যায় এবং কর্মসংস্থানের হারও কমে।
  4. কৃষিক্ষেত্রে সংকট: মন্দার আগে কৃষিক্ষেত্রেও সংকট দেখা দেয়। কৃষকদের আয় কমে যায়, ফসলের দাম কমে, এবং অনেক কৃষক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ে। এই সংকটের কারণে কৃষি উৎপাদন কমে যায় এবং পুরো অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে।
  5. ট্যারিফ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংকট: ১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্র “স্মুট-হাওলি ট্যারিফ আইন” প্রণয়ন করে, যা আমদানি পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হ্রাস পায়, এবং অন্যান্য দেশগুলোও পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। এই কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংকুচিত হয়ে পড়ে, যা অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তোলে।
  6. আর্থিক নীতি ও ব্যবস্থাপনার ভুল: ফেডারেল রিজার্ভ সেই সময় সঠিকভাবে অর্থ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। তারা সুদের হার বাড়িয়ে দেয়, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও সীমিত করে। এই ভুল নীতি অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।

এই সকল কারণ মিলিতভাবে ১৯২৯ সালের গ্রেট ডিপ্রেশনকে সৃষ্টি করে, যা প্রায় এক দশক ধরে চলতে থাকে এবং আমেরিকা সহ বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

1929 সালের অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব

১৯২৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দা, বা গ্রেট ডিপ্রেশন, আমেরিকা এবং সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল। এর কিছু প্রধান প্রভাব নিচে তুলে ধরা হলো:

  1. বেকারত্ব বৃদ্ধি: মন্দার সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের চাকরি হারায়। আমেরিকায় বেকারত্বের হার ২৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যায়, ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক কমে যায়।
  2. গৃহহীনতা ও দারিদ্র্যের বৃদ্ধি: মন্দার ফলে মানুষ তাদের বাড়িঘর হারাতে শুরু করে। অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে এবং “হুভারভিল” নামে পরিচিত অস্থায়ী বস্তিতে বসবাস করতে বাধ্য হয়। দারিদ্র্য চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, এবং অনেকেই মৌলিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
  3. ব্যাংকিং সংকট ও ব্যাংকের দেউলিয়াত্ব: হাজার হাজার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়, কারণ তারা তাদের ঋণদাতা ও আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়। আমানত হারানো ও ব্যাংকগুলোর পতন মানুষের আস্থায় বড় রকমের ধাক্কা দেয় এবং অনেকের জীবন সঞ্চয় শেষ হয়ে যায়।
  4. ব্যবসা ও শিল্পে মন্দা: উৎপাদন শিল্প ও অন্যান্য ব্যবসাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়, এবং উৎপাদন অনেক কমে যায়। ফলে, কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ ও নতুন কর্মী নিয়োগ কমিয়ে দেয়, যা আরও বেশি বেকারত্ব ও মন্দা সৃষ্টি করে।
  5. আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি: এই সময়ে আর্থিক সংকট ও হতাশার কারণে আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পায়। মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রভাব পড়ে, এবং হতাশা ও হতাশাজনিত রোগ বেড়ে যায়।
  6. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পতন: আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হ্রাস পায়, কারণ বিভিন্ন দেশ আমদানি-রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। এর ফলে অন্যান্য দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মন্দায় পতিত হয়।
  7. রাজনৈতিক পরিবর্তন: মন্দার কারণে অনেক দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। আমেরিকায় ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের “নিউ ডিল” কর্মসূচি চালু করা হয়, যা সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে এবং অর্থনৈতিক সংস্কার আনতে সাহায্য করে। ইউরোপের কিছু দেশে মন্দার কারণে রাজনৈতিক চরমপন্থা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদের উত্থান ঘটে।
  8. মুদ্রাস্ফীতি ও দামের পতন: মন্দার সময় পণ্যের মূল্য ব্যাপকভাবে কমে যায়। ফলে কৃষক ও শিল্প উৎপাদনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ তাদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য কমে যায় এবং তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

অর্থনৈতিক মন্দায় করণীয়

অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় ব্যক্তিগত, প্রতিষ্ঠানগত ও সরকারের পক্ষ থেকে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এই পদক্ষেপগুলো অর্থনীতির অবস্থা স্থিতিশীল করতে এবং মন্দার প্রভাব হ্রাস করতে সহায়ক হতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো:

ব্যক্তিগত পর্যায়ে করণীয়

  1. অর্থ সঞ্চয় বৃদ্ধি করা: অর্থনৈতিক মন্দায় চাকরি হারানোর ঝুঁকি থাকে, তাই খরচ কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। জরুরি প্রয়োজনের জন্য একটি অর্থের মজুদ রাখা উচিত।
  2. ঋণের পরিমাণ কমানো: ঋণ পরিশোধ করার জন্য পরিকল্পনা করা উচিত, বিশেষ করে উচ্চ সুদের ঋণ। ঋণের বোঝা কম থাকলে মন্দার সময় আর্থিক চাপে পড়তে হয় না।
  3. বিনিয়োগে সতর্কতা: উচ্চ ঝুঁকির বিনিয়োগের পরিবর্তে নিরাপদ বিনিয়োগে মনোযোগ দেওয়া উচিত। মন্দার সময় শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাই ভেবেচিন্তে বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  4. দক্ষতা বৃদ্ধি: কর্মসংস্থানের ঝুঁকি এড়াতে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা উচিত। নতুন দক্ষতা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

প্রতিষ্ঠানগত পর্যায়ে করণীয়

  1. খরচে নিয়ন্ত্রণ: প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আনা এবং উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বাড়ানো। খরচ কমানো মুনাফা স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক।
  2. নগদ প্রবাহ নিশ্চিত করা: মন্দার সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত নগদ প্রবাহ বজায় রাখতে মনোযোগ দেওয়া। কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করা এবং ক্রেডিট ব্যবস্থাপনা উন্নত করা উচিত।
  3. কর্মচারীদের জন্য সহায়তা প্রদান: প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত কর্মীদের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট প্রদান করা। এছাড়া কর্মী ছাঁটাই না করে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে বের করা।
  4. বাজারে নতুন সুযোগ সন্ধান: প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন বাজার এবং পণ্য-সেবা নিয়ে পরীক্ষা করা উচিত, কারণ মন্দার সময়ে গ্রাহকদের চাহিদা পরিবর্তিত হতে পারে।

সরকারী পর্যায়ে করণীয়

  1. আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ: সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে যা ব্যবসা ও ব্যক্তিদের সহায়তা করতে পারে। যেমন, স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, কর ছাড়, এবং আর্থিক সাহায্য।
  2. সুদের হার কমানো: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে সুদের হার কমানো যেতে পারে, যা অর্থনীতিতে নগদ প্রবাহ বাড়ায় এবং বিনিয়োগে উৎসাহিত করে।
  3. বেকার ভাতা ও সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি: বেকারদের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা উচিত যাতে মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে।
  4. বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ: সরকার অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে, যা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে।
  5. অর্থনৈতিক নীতি সংশোধন: দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের উচিত তাদের নীতিমালা পর্যালোচনা করা এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করণীয়

  1. বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধি: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF), বিশ্ব ব্যাংক, এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করে বৈশ্বিক মন্দা মোকাবেলা করা যায়।
  2. বাণিজ্য বাধা হ্রাস: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে এবং দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাণিজ্য বাধা কমানো যেতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
  3. ঋণ পুনর্গঠন: মন্দার সময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য তাদের ঋণ পুনর্গঠন করা এবং সুদ কমানো দরকার।

সারসংক্ষেপ

অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় ব্যক্তিগত সঞ্চয় বৃদ্ধি, কর্পোরেট খরচ নিয়ন্ত্রণ, এবং সরকারি আর্থিক প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে মন্দার প্রভাব হ্রাস করা এবং সবার জন্য একটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

Related Tag:

Comments (3)

  • November 14, 2024

    টমেটো: টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও আপকারিতা - CryptoChronicle

    […] অর্থনৈতিক মন্দা কি? অর্থনৈতিক মন্দার […]

  • November 25, 2024

    বিটকয়েন কি? BITCOIN কিভাবে কিনবেন, মাইনিং এবং ব্যবহার করবেন - Explore Bangla

    […] যে বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকবে এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসাবে BTC কেনা শুরু করবে। ব্যবসায়ীরা […]

  • November 25, 2024

    টমেটো: টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও আপকারিতা - Explore Bangla

    […] […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts